Friday, February 8, 2008

একটি মেয়ের নীরব কান্না

Title of this post: "Silence tears of a woman" by Taufika Farzana

একবিংশ শতাব্দির যুগেও বাংলাদেশ এখনও দারিদ্র এবং অশিক্ষার কড়াল গ্রাশে নিমজ্জীতএখানে নিম্নবিত্ত পরিবারে স্কুল বয়সী ছেলে মেয়েরা স্কুল যাওয়ার পরিবর্তে কাজে বে হয়তাদের পরিবার তাদের উপর নির্ভরশীল হয়মাদের চারপাশে এখনও অনেক দুঃখী মেয়ে রয়েছেযাদে জীবন অনেক কষ্টে কেটেছেআমি এখন একজন মেয়ের কথা বলব যার জীবনে নেমে এসে ছিল দুঃখের কালো ছায়ামেয়েটির নাম ঝর্ণা

তার জীবনের প্রতিটা ঘটনাই কান্নারসুখের কোন ছায়া নেই সেখানেপাহা তার কষ্টের কথা অন্যকে বুঝানোর জন্য কান্না দ্বারা প্রকাশ করে কিন্তু এই কান্নাকে আমরা ঝর্ণা বলে থাকিঠিক তেমনি ঝর্ণা মেয়েটির প্রতিটা ঘটনার সাথে তার নামের মিল খুঁজে পাওয়া যায়পাহা তার কষ্টের কথা প্রকাশ করলেও ঝর্ণা তার কষ্ট এবং কান্নার কথা কারও কাছে প্রকাশ করতে পারেনি সে তার কষ্টগুলো তার বুকে পাথর দিয়ে চেপে রেখেছেসে তার সংগ্রামী জীবনে ধৈর্য্যের সাথে এগিয়েছে

ঝর্ণার জন্মস্থান ফরিদপুরেসেখানে সে মা এবং ভাই বোনের সাথে বসবাস করেতারা ৬ বোন ১ ভাইভাই বোনের মধ্যে ঝর্ণা অবস্থান ৩য়ঝর্ণা তার বাবাকে হারিয়েছে তিন বছর বয়সে তাই তাদের সংসারের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়ঝর্ণার অন্যান্য ভাই বোনেরা বিয়ের পূর্ব পর্যন্ত তাদের সংসারে ব্যয় বহন করতকিন্তু বিয়ের পর তারা নিজ নিজ সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকে তাই বাধ্য হয়ে ঝর্ণাকেই সংসারের হাল ধরতে হয়এই কষ্টের মাঝে ঝর্ণা ভালবেসেছে একজনকে এবং তাকে বিয়েও করেছেসে তার দুটি মেয়ে এবং স্বামীকে নিয়ে সুখী জীবন যাপন করতঝর্ণা ভেবেছিল তার কষ্টের জীবন শেষ হয়েছেকিন্তু সংসার জীবনে ও ঝর্ণা সুখী হতে পারে নিকারন স্বামী তাদের ফেলে চলে যায়ঝর্ণার কষ্টের পরিমান বেরে যেতে থাকেসে তার মা এবং মেয়েদের মুখে খাবার দেয়ার জন্য বের হয় কাজের সন্ধানেসে বাসা বাড়িতে প্রথমে কাজ নেয়এবং সে মেয়েদের স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেয়কিন্তু সে যে কাজ করে তাতে তার সংসার চলে নাতাই সে আরেকটা কাজের খুঁজ করেএবং সে একটা কাজ পেয়ে যায়সে আমাদের কলেজের ক্যান্টিনে কাজ করেসে সব সময় হাসি মুখ করে থাকেএত কষ্টের মাঝেও সে হাসতে পারেএখানে সে ছয় মাস ধরে কাজ করছেসে এই কাজের টাকা দিয়ে বাসা বাড়িতে থাকে এবং মেয়ে দুটকে লেখাপড়া শিখায়সে বুঝতে পেরেছে জীবনে, লেখাপড়া ছাড়া কোন মূল্য নেইসে তার এই ছোট জীবনে অনেক সংগ্রাম করেছেজীবনে কারও কাছে মাথা নত করেনিসে জীবনের কাছে সংগ্রাম করে টিকে আছেতার মেয়েদের নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেতাই সে তার মেয়েদের স্কুলে ভর্তি করে দেয়তার বড় মেয়ে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ে এবং ছোট মেয়ে ক্লাশ ওয়ান পড়েতার মনে অনেক আশা মেয়েদের সে লেখাপড়া শিখাবে মানুষের মত মানুষ করবেতার জীবনের মতো যেন না হয় তাদের জীবন

আমার মনে হয় জীবনে ভালবাসাই সব নাজীবনে বেচেঁ থাকার জন্য চাই প্রতিষ্ঠাআমাদের সমাজে নারীরা ‌মনিতেই অবহেলিত ও বঞ্চিতনানা ভাবে নির্যাতিত হচ্ছে তারাতাই আমাদের সবার উচিৎ আমাদের পায়ের নিচের মাটিকে শক্ত করে তোলাআমাদের এগিয়ে চলা উচিৎ নতুন এক আলোর পথে.............

1 comment:

nurul islam said...

i,nurul islam study in dhaka university,seeking for help because i am severly affectd by sidr.and now we are in uncertainty.