ক্যাথরীন বি ওয়ার্ড এবং নারী জীবনের সকল ডোনারদেরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, সব নারীদের জন্য এতবড় একটা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। নারী জীবন ব্লগের মাধ্যমে আমাদের দেশের অনেক মেয়েরা বিভিন্ন ভাবে উপকৃত হচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠানটি অন্য সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সম্পূর্ন আলাদা এখানে মেয়েরা নিরিবিলি পরিবেশে এবং নাম মাএ রেজিষ্ট্রশন ফি দিয়ে বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রশিক্ষন নিচ্ছে । শুধু মাত্র মেয়েদের জন্য এই প্রতিষ্ঠান। এখানে ধনী- দরিদ্র কোন বৈষম্য নেই, ছোট বড়-র কোন বৈষম্য নেই। কাজের বুয়া থেকে শুরু করে সব নারীরা এই নারী জীবন থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে উপকৃত হচ্ছেন। যা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে সম্ভব না। আমাদের ম্যাডাম কে.বি. ওয়ার্ড নারীদের কথা চিন্তা করে এরকম একটা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সে জন্য প্রথমে ম্যাডামকে আমার পক্ষ থেকে তারপর নারী জীবনের সকলের পড়্গ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ।
১. কম্পিউটার বেসিক এবং অফিস পোগ্রাম
২. কম্পিউটার যন্ত্রাংশের রক্ষনাবেক্ষন এবং সমস্যার সমাধান
৩. গ্রাফিক্স এবং ওয়েব ডিজাইন
৪. ইংরেজী ভাষা শিক্ষা
৫.ব্যবসা পরিকল্পনা এবং ব্যবস্থাপনা
৬.বাংলা ভাষা শিক্ষা
৭. টেইলারিং ও কাটিং মাস্টার
৮. ফটোগ্রাফি
আমি আমার কথাই বলছি। আমি বাঙ্গালী, যতই ইংরেজী জানিনা কেন সেরকম জানিনা। আমি যেদিন প্রথম নারী জীবনে আসি ম্যাডামের সাথে কথা বলার পর থেকেই আমার একজন পছন্দের মানুষ হয়ে গেলেন আমাদের নারী জীবনের মা-- কে.বি. ওয়ার্ড। তখন আমি ম্যাডামের অনেক কথাই বুঝতাম না। ম্যাডাম আমাকে ইংরেজী বলে সাথে আবার ভাঙ্গা ভাঙ্গা বাংলা বলে সব কিছু বুঝিয়ে দিতেন। এই যে সবার প্রতি ম্যাডামের সহমর্মিতা এবং সহযোগিতা সত্যি সেটা প্রশংসার যোগ্য। আমি আমাদের ম্যাডাম কে খুব মনে করি। শুধু আমি কেন? আমার তো মনে হয়, যে একবার আমাদের ম্যাডামের সাথে পরিচিত হয়েছে তারা সবাই ম্যাডামকে মনে করবে। এরকম একজন পরোপকারি এবং নারী কল্যাণে সহায়তাকারী মানুষকে মনে করারই কথা। আমি প্রথমে আমার পক্ষ থেকে এবং নারী জীবনের সকলের পক্ষ থেকে আমাদের ম্যাডামকে ধন্যবাদ জানাই। ম্যাডাম যখনি বাংলাদেশে আসেন তখনি আমাদের নারী জীবন আনন্দে মুখরিত হয়ে উঠে । সবার মাঝে আনন্দের ছোঁয়া জাগে। ম্যাডাম মায়ের মমতা দিয়ে আমাদের সবাইকে ভরিয়ে দেয়। মানুষ যে এত মহৎ হয় ম্যাডামকে না দেখে আমি কখনও বুঝতাম না। এই মানুষটা সত্যিই খুব মহৎ। ম্যাডাম বিনা স্বার্থে আমাদের দেশের নারীদের জন্য সব কিছু করেছেন শুধু মাত্র নারীদের উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য। যাতে আমাদের দেশের নারীরা নিজের পায়ে নিজে দাঁড়াতে পারে এবং অবহেলিত, অবাঞ্চিত হয়ে এই পুরুষ শাসিত সমাজে, তাদেরকে অন্যের বোঝা হয়ে যেন বেঁচে থাকতে না হয়।
শুধু তাই না আমাদেশের দেশের নারীদের কথা চিন্তা করে ম্যাডাম নারী সাইবার ক্যাফে প্রতিষ্ঠা করেছেন। এখানে শুধু নারীরাই তাদের প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারে। বাংলাদেশের যে কোন নারী তাদের প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারবে এই নারী সাইবার ক্যাফেতে। আমাদের দেশে অনেক সাইবার ক্যাফে আছে, সেখানে নারী, পুরুষ এক সাথে কাজ করে, কিন্তু সেখানে মেয়েদের অস্বস্তি থেকেই যায়। আমাদের এখানে নারীরা তাদের প্রয়োজনীয় কাজ খুবই আনন্দের সাথে করতে পারে।
ব্লগের কথা বললে হয় যে, ব্লগের মাধ্যমে প্রত্যেক ছাত্রীরা তাদের মনের কথা সাহিত্যিক আকারে বা ছোট গল্প আকারে লিখতে পারে। তাদের দৈনন্দিন চলার পথে হাসি, কান্না, দুঃখ বেদনার মত যত রকম ঘটনা ঘটে তারা তা নিজের মত করে প্রকাশ করতে পারে ব্লগের মাধ্যমে। সেখানেও ম্যাডাম মেয়েদের কথা চিন্তা করে, আমরা বাংলাদেশী আমাদের কথা চিন্তা করে। তাই ইংরেজী লিখার পাশাপাশি বাংলা লিখার সুযোগ করে দিয়েছেন। কারণ সবাই তো আর ইংরেজী লিখতে পারবেনা। এসবের মাধ্যমে নারীরা তাদের জীবনে চলার পথে নানা সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হবে। এই যে মেয়েদের উন্নতি অগ্রগতি তা সম্ভব হয়েছে আমাদের ম্যাডাম, নারী জীবনের ‘জননী”-র জন্যই । যে মানুষটা আমাদের জন্য এতকিছু করেছেন তাকে কি কেউ ধন্যবাদ না দিয়ে, শ্রদ্ধা না করে পারে ? ম্যাডামের কাছ থেকে আমরা যা পেয়েছি, ম্যাডামের প্রশংসার কথা বলেও শেষ করা যাবে না।
ম্যাডামকে এবং অন্যান্য ডোনারদেকে জানাই গোলাপের প্রাণ ঢালা শুভেচ্ছা ।
‘‘পুষ্প নিজের জন্য ফুটে না
অন্যের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দেয়”
আমাদের ম্যাডামও নারী জীবনের জন্য, বাংলাদেশী অসহায় নারীদের সহযোগিতা করার জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন। নিজের সব স্বার্থ ত্যাগ করেছেন।
২১ ডিসেম্ভর আমাদের প্রিয় ম্যাডামের জন্ম দিন। আমি আমার পক্ষ থেকে এবং নারী জীবনের পক্ষ থেকে ম্যাডামকে জানাই জন্ম দিনের প্রাণ ঢালা শুভেচ্ছা এবং সৃষ্টি কর্তার দরগায় প্রার্থনা করি, ম্যাডামকে যেন যুগ যুগ ধরে বাঁচিয়ে রাখেন আমাদের মাঝে।
No comments:
Post a Comment