Saturday, February 9, 2008

ভাসানী নভোথিয়েটার

Title of this post: Bhasani Novo theatre by Hasina Akter

বিনোদনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদে বিজ্ঞান প্রযুক্তি শিক্ষার উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে নির্মিত ভাসানী নভোথিয়েটার উদ্বোধন করা হয় ২০০৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বররাজধানীর বিজয় স্মরনীর মোড়ে অবস্থি ভাসানী নভোথিয়েটার প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ১৩০ কোটি টাকাসম্পূর্ন দেশীয় অর্থায়নে ঐটি নির্মান করেছে সরকারের বিজ্ঞা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়প্রকল্পটির স্থপতি আলী ইমাম,৪ একর জমির উপর ভাসানী নভোথিয়েটারের অবস্থাএ প্রকল্পে রয়েছে তিন তলাবিশিষ্ট মূল নভোথিয়েটার ভবন, ভবনের কেন্দ্রভাগে দৃষ্টি নন্দন অ্যালুমিনিয়াম মেটালি ডোম, ভেতরে ২৭৫ টি বিশেষ ধরনের আসনবিশিষ্ট প্লানেটরিয়াম, ১৭০ আসন বিশিষ্ট অডিটরিয়াম, ভবনের সম্মুখভাগে ও দুই পাশে তিনটি জলাধর, পেছনের অংশে তিন তলা বিশিষ্ট প্রশাসনিক ভবন, জ্যোতিবিজ্ঞানে জ্ঞান লাভের জন্য নানা রকমের প্রদর্শনী, ল্যান্ডস্কেপসহ ফুলের বাগান, ফোয়ারা গার্ডেন লাইট প্রভৃতিভবনটির ডোমের আয়তনের ব্যাস ৯৬ ফুটকেন্দ্রে রয়েছে ৭০ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট একটি মেটালিক ডোমনভোথিয়েটারের কেন্দ্রে অবস্থিত ২৩ মিটার ইনার ডোমের উপর নিচ থেকে প্রায় ১৫০ টি প্রজেক্টে ব্যবহার করে মাল্টিপল ইমেজের সমন্বয়ে একটি কৃত্রিম মহাকাশ তৈরি করা হয়েছেনভোথিয়েটারের পাঁচটি লেভেলমাটির উপরের দুইটি লেভেল হচ্ছে +৫১০০ এবং +০০ লেভেলএই গুলোতে রয়েছে বিভিন্ন প্রদর্শনী বস্তু, টিভি স্ক্রিন, সিসি টিভি প্রভৃতিমাটির নিচের তিনটি লেভেল হচ্ছে ৩৭০০, ৫৮৫৮, ৯৭৫০ লেভেলএই তিনটি লেভেল যথাক্রমে রয়েছে জনসাধারনের জন্য ১৫০টি কার পার্কিংয়ের সুবিধা, পূর্ব আছে প্রতিবন্ধীদে জন্য সিঁড়ি, পাশেই রয়েছে বিজ্ঞান মেলা বা প্রদর্শনীর জন্য বিশাল জায়গা, টিকেট কাটার জন্য আলাদা কাউন্টারভবনটির দুটি ভূগর্ভস্থ, ফ্লোরে দেশ বিদেশের খ্যাতনামা বিজ্ঞানী ও গবেষকদে ছবি ও জীবন বৃত্তান্ত রয়েছেএখানে ২০০০ কিলো ভোল্টা অ্যাম্পিয়ার (কেভিত্র) বৈদুৎতিক উপকেন্দ্র এবং ৫০০ কেভিত্র ইমারজেন্সি প্যানারোমা লিফট স্থাপন করা হয়েছেরয়েছে ১২ টি ক্যামেরা সম্বলিত সি সি টিভি

১৯৯৫ সালে বিএনপি সরকারের আমলে এ নভোথিয়েটার প্রকল্পের দলিল তৈরি হয়রে ১৯৯৭ সালের ৩ মার্চ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রকল্পটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার নাম করন করে দরপত্র আহবান সহ অন্যান্য কাজ শুরু হয়১৯৯৮ সালে দু-বার ও ১৯৯৯ সালে একবার আন্তর্জাতিক দরপত্র আহবান করে প্রক্ষেপন যন্ত্রপাতি সর্বরাহের কাজ দেয়া হয়জাপানের গোটো অপটিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানিকেমেটালিক ডোম স্থাপনের কার্যাদেশ প্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠাণে মেসার্স গ্যাসমিনসহ বিগত সরকারের আমলে এই নভোথিয়েটার নির্মানে স্থবিরতা এর নির্মান ব্যয় অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছেনভোথিয়েটারের অর্ধ গোলআকৃতির ডোম আছে বিমোহিত করার মত প্রক্ষেপন পদ্ধতির যন্ত্রপাতিঅ্যাস্ট্রোটেকের পারফোরেটেড এলুমিনিয়াম পদা গোটোর জিএসএস হেলিয়স স্পেস সিমুলেটের বিভিন্ন ধরনের স্পেশাল প্রজেক্ট এবং অ্যাষ্ট্রোভিশন ৭০

বিজ্ঞান সহায়ক এ নভোথিয়েটারে সম্পূর্ণ বিনোদনের মাধ্যমে মানুষকে বিজ্ঞান মনষ্ক করে তোলার জন্য প্রদর্শিত হচ্ছে বিস্ময়কর ছবিমনে রাখার মত প্যানো-হেমিসকারিক প্রক্ষেপন যন্ত্রে সাহায্যে দেখানোর হচ্ছে প্ল্যানেট শো জার্নি টু ইনফিনিটিডাঃ বিল গুস এর অসাধারন সৃষ্টি জানি টু ইনফিনিট ছবিতে জি এস এস হেলিয়স অ্যাষ্ট্রোভিশন ৭০ যৌথভাবে দর্শকদে নিয়ে যায় এক ভিন্ন জগতেন্য সে যাত্রাপথে বিস্ময়কর শব্দ ও ছবির সম্মিলন ঘটেচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন প্রক্ষেপন যন্ত্রে অনিন্দ্য সুন্দ বর্ণিল আলোকচ্ছটা অ্যাষ্ট্রোভিন ছবি এবং স্কাইক্যান ভিডিও পৌঁছে দেয় সৌরমন্ডলে মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সীতেসেখান থেকে দেখা যায় মহাকাশের বিস্তৃত সীমাসেখান থেকে দেখা যায় মহাকাশের বিস্তৃত সীমা। খুব কাছ থেকে দেখা যায় তাহার মৃত্যু এবং এগুলোর কোন কোনটির কৃঞ্চ গহ্বরে হারিয়ে যাওয়ার দৃশ্যসূর্যের বুকে আগুনের সাগরসূর্যে প্রচন্ড তাপে দগ্ধক্ষত বিক্ষত বুধ গ্রহের অবয়বদেখা যায় শনির বলয় কিংবা গ্রহরাজ বৃহষ্পতিবিশ্বাস্য সে আলো ও শব্দের কারসাজি না দেখালে বিশ্বাস করার মত নয়শূন্যে ভেসে ভেসে দেখা যায় আমাদের সৌরজগতের সকল গ্রহ ছায়াপথ সহ বিস্ময়কর সৃষ্টি প্রক্রিয়াঅন্যান্য স্পেস থিয়েটারের মত ভাসানী নভোথিয়েটার জ্যোতিবিজ্ঞানকে তুলে ধরার পাশাপাশি জীববিজ্ঞান ইতিহাস, শিল্প ভূগোলে নৃবিজ্ঞানের বিভিন্ন দিকের সাথে এর যোগসূত্র স্থাপন করবে

গাছ

Title of this post: "Tree" by Hazera Akter Sherin Shela

গাছ হল বড় বন্ধু,
যার মাঝে নেই দ্বন্ধ।
নেই তার কোন স্বার্থ,
মানুষের কল্যানে করে নিজেকে নিয়োজিত।
গাছের জন্যই বেচেঁ আছি,
পৃথিবী আজও টিকে আছে।
যত বেশি পার গাছ লাগাও,
পৃথিবীকে ধ্বংসের হাত থেকে বাচাঁও।
গাছের বেশি করে যত্ন নাও,
একটি কাঁটলে দুইটি লাগাও।
তাহলেই পৃথিবী হবে সবুজ শ্যামল,

এবং মানুষের বাসযোগ্য।

ব্লগার প্রোফাইল- (শিক্ষার্থী)

Title of this post: Bloggers profile (Students)

নিনা সুলতানা মীম









আমার নাম নিনা সুলতানা মীম। ২৯শে অক্টোবর,১৯৮৯ সালে আমি ঢাকায় জন্মগ্রহন করি। আমার বাবার নাম আবদুল কাসেম, তিনি একজন সরকারি কর্মকর্তা। আমার মায়ের নাম নাসিমা আক্তার সীমা, তিনি একজন আদর্শ গৃহিনী। আমি ২০০৫ সালে মগবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি এবং ২০০৭ সালে ইস্পাহানি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাশ করি। এখন আমি বি.বি.এ ভতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।

লক্ষিপুর আমার প্রিয় জায়গা এটা খুব সুন্দর একটা জায়গা। রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের হৈমন্তী আমার প্রিয় বই। পদ্মা নদীর মাঝি আমার প্রিয় সিনেমা।
আমার শখ হল গান শোনা এবং গল্পের বই পড়া।

আমি আমার এক বান্ধবীর কাছ থেকে নারী জীবনের কথা জেনেছি এবং তার সাথে এখানে আসি। এখন আমি এখান থেকে ইংলিশ স্পোকেন এবং কম্পিউটার কোর্স করছি। যখন আমি এখানে এসেছিলাম তখনও আমি ব্লগ সম্পর্কে জানতাম না। এটা আমার কাছে নতুন এবং আনন্দদায়ক। এখন আমি ব্লগে বাংলা এবং ইংরেজী কবিতা, গল্প ইত্যাদি ব্লগে লিখি। একজন নতুন লেখিকা হিসাবে আমি আরও বেশি কিছু লিখার চেষ্টা করছি।


রুমি আক্তার





আমার নাম রুমি আক্তার। আমার জন্ম নারায়নগঞ্জে। আমার ছেলেবেলা কেটেছে নারায়নগঞ্জে। আমার জন্ম তারিখ ৩য় নভেম্বর,১৯৯০। আমার বাবার নাম রহমান আলী। তিনি মারা গেছেন। আমার মায়ের নাম রহিমা বেগম। তিনি একজন গৃহিনী। আমরা দুই বোন এবং এক ভাই। আমি এস.এস.সি পরিক্ষার্থী। আমার গ্রাম আমার প্রিয় স্থান। বিভিন্ন ধরনের সিনেমা দেখা আমার শখ। আমি লেখাপড়া শেষ করে কোন ব্যাংকে কাজ করতে চাই।

আমি আমার বোনের কাছ থেকে নারী জীবনের সম্পর্কে জেনেছি। আমি নারী জীবনকে ভালবাসি কারণ আগে আমি কিছুই জানতাম না কিন্তু এখন আমি কম্পিউটার, ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারি, ইংরেজী বলতে পারি, ব্লগ সম্পর্কে জেনেছি এবং এছাড়া আরোও অনেক কিছু নারী জীবনে এসে জেনেছি। প্রথমে আমি নারী জীবনের ইংরেজী-১ ক্লাসে ভর্তি হয়েছিলাম। এখন আমি ইংরেজী-২ এবং কম্পিউটার ক্লাসের একজন শিক্ষার্থী।
আমি নারী জীবনে আসার পর ব্লগ সম্পর্কে জেনেছি আগে আমার এটার উপর কোন ধারনা ছিল না। এটি খুব আনন্দদায়ক। আমি আমার লেখার মাধ্যমে আমাদের দেশের সংস্কৃতি এবং এদেশের লোকজনদের চালচিত্র অন্যদের সামনে তুলে ধরতে চাই।

ব্লগার প্রোফাইল- (শিক্ষার্থী)

Title of this post: Bloggers profile (Students)

সালমা আক্তার







আমি সালমা আক্তার। আমার বয়স ২৬ বছর। আমি ৩০শে জুন ১৯৮০ সালে ঢাকায় জন্ম গ্রহন করি। আমি বিবাহিত। আমার শাশুরি, শশুর, দেবর, আমার স্বামী এবং আমার একমাত্র ছেলেকে নিয়ে আমার সংসার। আমি ১৯৯৫ সালে এস.এস.সি, ১৯৯৮ সালে এইচ.এস.সি এবং ২০০০ সালে ডিগ্রি পাশ করি। কক্সবাজার আমার প্রিয় স্থান। আমার সখ গান শোনা।

আমি আমার এক আত্মীয়ের কাছ থেকে নারী জীবন সম্পর্কে জানতে পারি। বর্তমানে আমি নারী জীবনের ইংলিশ ও কম্পিউটার বিভাগের একজন শিক্ষার্থী। নারী জীবনে এসে আমি প্রথমে ব্লগ সাইটের কথা জেনেছি। এটা আমার জীবনের নতুন একটা অংশ এবং এটি খুব আনন্দদায়ক। ব্লগসাইটের মাধ্যমে আমরা আমাদের সংস্কৃতি এবং আমাদের দেশের মানুষের জীবনচিত্র অন্যদেরকে জানাতে পারি। একজন নতুন লেখিকা হিসাবে আমি কিছু লিখতে চেষ্টা করব। এই প্রতিষ্ঠানের একটি গুরুত্বপূর্ন অংশ হল নারী সাইবার ক্যাফে। এটা শুধুমাত্র নারীদের জন্য। এখানে আমরা সবাই ক্লাসের টপিকস অনুশীলণ করতে পারি এবং ব্রাউজ করতে পারি। আমি নারী জীবন থেকে শিখতে পেরে আনন্দিত।


নুরুন নাহার ইসলাম মুন্নি





আমার নাম নুরুন নাহার ইসলাম মুন্নি। আমার ভাই, বোন, এবং আমার বাবা-মা কে নিয়ে আমাদের পরিবার। আমি ঢাকার মালিবাগ চৌধুরীপাড়ায় জন্ম গ্রহন করি। ২০০৭ সালে আমি এস.এস.সি পাশ করি। এখন আমি এইচ.এস.সি তে পড়ছি। পাশাপাশি আমি নারী জীবনে ইংরেজী এবং কম্পিউটার শিখছি। আমাদের গ্রাম আমার প্রিয় জায়গা। আমার শখ হল বিভিন্ন রকমের বই পড়া এবং ঐতিহাসিক জায়গা ভ্রমন করা। ভবিষ্যৎতে আমি ব্যবসা করতে চাই।

নারী জীবন একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান। এখানে নারীরা বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের জীবনকে গঠন করতে পারে। ব্লগ সাইট আমার জন্য নতুন এবং আনন্দদায়ক। আমি আমার চিন্তা, সংস্কৃতি এবং আমাদের দেশের প্রকৃতিক সৌন্দয্য ব্লগে লিখার মাধ্যমে অন্যদের সামনে তুলে ধরতে চাই। এখানে আমাদের জন্য আছে নারী জীবন সাইবার ক্যাফে। শুধুমাত্র মেয়েরা এটা ব্যবহার করতে পারে। শিক্ষার্থীরা তাদের অবসর সময়ে ক্লাসের পড়াগুলো অনুশীলণ করতে পারে এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে। আমি এটা খুব পছন্দ করি এবং অবসর সময়ে ইন্টানের ব্রাউজ করি।

Friday, February 8, 2008

প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চার্য নির্বাচনে কক্সবাজার ও সুন্দরবনকে ভোট দিন, শীর্ষস্থান ধরে রাখতে নিজ সহযোগিতা করুন এবং অন্যদেরকে উৎসাহিত করুন

Title of this post: "Need your vote for electing Cox’z Bazar and Sundar ban as Natural New Seven Wonders in the world" by M. G. Rabbany Sujan

এতদিন আমরা পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের নাম শুনিয়াছিমানুষের তৈরি এই সপ্তাশ্চর্যের পরিবর্তন হয়নি দীর্ঘদিন২০০৭ সালের জুলাই মাসে বিশ্বের নতুন সপ্তাশ্চার্য নির্বাচন করার পর নিউ সেভেন ওয়াল্ডাস ফাউন্ডেশন’’ সাত প্রাকৃতিক আশ্চার্য নির্বাচন শুরু করে

প্রাকৃর্তিক সপ্তাশ্চর্য নির্বাচনের সুচনা পরেই চমক সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশের কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ও সুন্দরবনসারা পৃথিবী থেকে প্রাথমিক মনোয়ন প্রাপ্ত ১৫৮ টি প্রাকৃতিক স্থানের মধ্যে ২৭ ডিসেম্বর ২০০৭ সালের বিকেলে এক নম্বর স্থানে উঠে আসেপৃথিবীর র্দীঘতম নিরবচ্ছিন্ন প্রকৃতিক সমূদ্র সৈকত কক্সবাজার আর পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন হল দ্বিতীয় স্থানে

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

সুন্দরবন

প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্যের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় প্রাথমিক ভাবে মনোয়ন পেয়েছে ১৫৮ টি স্থাএই তালিকায় আমেরিকার ৫১ টি স্থা, ইউরোপ ৩১- টি স্থা, উত্তর আমেরিকা ২৭টি, এশিয়া ৩০টি স্থান,ফ্রিকা ১৯টি এবং ওসেনিয়া ১০টি স্থা রয়েছে

এখন এসব স্থানের মধ্যে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভোটাভোটি চলছে২০০৮ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত এজন্য ভোট নেওয়া হবেগত ৪ঠা ফেব্রুয়ারী ২০০৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ পৃথিবীর বৃহত্তর মনোরম প্রকৃতিক সমুদ্র সৈকত শীর্ষস্থান এবং বিশ্বের বৃহত্তর ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন ইন্ডিয়ার অংশ সহ দ্বিতীয় শীর্ষস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেআর শেষ পর্যন্ত আমাদের এই অবস্থান ধরে রাখার জন্য আমাদের প্রত্যেকের র্নিবাচনে অংশ নিতে হবে এবং কক্সবাজার ও সুন্দরবন ভোট দিতে হবেঅন্যকে ও ভোট দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করিতে হবের্নিবাচনে অংশ গ্রহণ এবং ভোট দেওয়ার জন্য আপনাদের কে যা করতে হবে ---প্রথমে আপনার নিজের একটা ই-মেইলের ঠিকানা থাকতে হবে http://www.new7wonders.com/nature/ ঠিকানায়: ওয়েব সাইটে সুন্দরবন ও কক্সবাজারকে ভোট দিতে হবে ঐ পৃষ্ঠার মাঝামাঝিতে সবুজ রঙ্গের একটি পৃথিবীর মানচিত্র আছেএখানে কয়েকটি অঞ্চলের নাম আছেপ্রথমে ক্লিক করুন এশিয়াতেএশিয়া থেকে মনোয়ন পাওয়া ৩০টি স্থানের নাম এখানে পাওয়া যাবেকক্সবাজারের ক্লি করলে কক্সবাজারের ছবিসহ এর বর্তমান অবস্থান নিচে লিখা আছে একই ভাবে সুন্দরবন এ ক্লিক করলে সুন্দরবনের ছবি বর্ননা তালিকা ও বর্তমান অবস্থান জানা যাবে নিচে দেখুন ইংরেজীতে লিখা আছে ভোট নাও ফর ওখানে কিক্ল করলে তাৎক্ষনিকভাবে ঐ স্থানটির পক্ষে ভোট দেওয়া যাবে

একটি মেয়ের নীরব কান্না

Title of this post: "Silence tears of a woman" by Taufika Farzana

একবিংশ শতাব্দির যুগেও বাংলাদেশ এখনও দারিদ্র এবং অশিক্ষার কড়াল গ্রাশে নিমজ্জীতএখানে নিম্নবিত্ত পরিবারে স্কুল বয়সী ছেলে মেয়েরা স্কুল যাওয়ার পরিবর্তে কাজে বে হয়তাদের পরিবার তাদের উপর নির্ভরশীল হয়মাদের চারপাশে এখনও অনেক দুঃখী মেয়ে রয়েছেযাদে জীবন অনেক কষ্টে কেটেছেআমি এখন একজন মেয়ের কথা বলব যার জীবনে নেমে এসে ছিল দুঃখের কালো ছায়ামেয়েটির নাম ঝর্ণা

তার জীবনের প্রতিটা ঘটনাই কান্নারসুখের কোন ছায়া নেই সেখানেপাহা তার কষ্টের কথা অন্যকে বুঝানোর জন্য কান্না দ্বারা প্রকাশ করে কিন্তু এই কান্নাকে আমরা ঝর্ণা বলে থাকিঠিক তেমনি ঝর্ণা মেয়েটির প্রতিটা ঘটনার সাথে তার নামের মিল খুঁজে পাওয়া যায়পাহা তার কষ্টের কথা প্রকাশ করলেও ঝর্ণা তার কষ্ট এবং কান্নার কথা কারও কাছে প্রকাশ করতে পারেনি সে তার কষ্টগুলো তার বুকে পাথর দিয়ে চেপে রেখেছেসে তার সংগ্রামী জীবনে ধৈর্য্যের সাথে এগিয়েছে

ঝর্ণার জন্মস্থান ফরিদপুরেসেখানে সে মা এবং ভাই বোনের সাথে বসবাস করেতারা ৬ বোন ১ ভাইভাই বোনের মধ্যে ঝর্ণা অবস্থান ৩য়ঝর্ণা তার বাবাকে হারিয়েছে তিন বছর বয়সে তাই তাদের সংসারের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়ঝর্ণার অন্যান্য ভাই বোনেরা বিয়ের পূর্ব পর্যন্ত তাদের সংসারে ব্যয় বহন করতকিন্তু বিয়ের পর তারা নিজ নিজ সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকে তাই বাধ্য হয়ে ঝর্ণাকেই সংসারের হাল ধরতে হয়এই কষ্টের মাঝে ঝর্ণা ভালবেসেছে একজনকে এবং তাকে বিয়েও করেছেসে তার দুটি মেয়ে এবং স্বামীকে নিয়ে সুখী জীবন যাপন করতঝর্ণা ভেবেছিল তার কষ্টের জীবন শেষ হয়েছেকিন্তু সংসার জীবনে ও ঝর্ণা সুখী হতে পারে নিকারন স্বামী তাদের ফেলে চলে যায়ঝর্ণার কষ্টের পরিমান বেরে যেতে থাকেসে তার মা এবং মেয়েদের মুখে খাবার দেয়ার জন্য বের হয় কাজের সন্ধানেসে বাসা বাড়িতে প্রথমে কাজ নেয়এবং সে মেয়েদের স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেয়কিন্তু সে যে কাজ করে তাতে তার সংসার চলে নাতাই সে আরেকটা কাজের খুঁজ করেএবং সে একটা কাজ পেয়ে যায়সে আমাদের কলেজের ক্যান্টিনে কাজ করেসে সব সময় হাসি মুখ করে থাকেএত কষ্টের মাঝেও সে হাসতে পারেএখানে সে ছয় মাস ধরে কাজ করছেসে এই কাজের টাকা দিয়ে বাসা বাড়িতে থাকে এবং মেয়ে দুটকে লেখাপড়া শিখায়সে বুঝতে পেরেছে জীবনে, লেখাপড়া ছাড়া কোন মূল্য নেইসে তার এই ছোট জীবনে অনেক সংগ্রাম করেছেজীবনে কারও কাছে মাথা নত করেনিসে জীবনের কাছে সংগ্রাম করে টিকে আছেতার মেয়েদের নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেতাই সে তার মেয়েদের স্কুলে ভর্তি করে দেয়তার বড় মেয়ে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ে এবং ছোট মেয়ে ক্লাশ ওয়ান পড়েতার মনে অনেক আশা মেয়েদের সে লেখাপড়া শিখাবে মানুষের মত মানুষ করবেতার জীবনের মতো যেন না হয় তাদের জীবন

আমার মনে হয় জীবনে ভালবাসাই সব নাজীবনে বেচেঁ থাকার জন্য চাই প্রতিষ্ঠাআমাদের সমাজে নারীরা ‌মনিতেই অবহেলিত ও বঞ্চিতনানা ভাবে নির্যাতিত হচ্ছে তারাতাই আমাদের সবার উচিৎ আমাদের পায়ের নিচের মাটিকে শক্ত করে তোলাআমাদের এগিয়ে চলা উচিৎ নতুন এক আলোর পথে.............