নারী তুমি কখনো মা
কখনো কারো স্ত্রী, তুমি বোন
আবার কারো প্রেয়সী।
কতই না স্নিগ্ধতা দিয়ে ভরিয়ে
তোল তুমি বিস্মময় ভুবন।
তার পর কি পেয়েছ তুমি,
নিজেকে উজার করে দিয়ে?
নিজেকে একবার প্রশ্ন করে দেখো
উত্তর তোমার নিজের কাছেই।
তুমি শূন্য, তুমি রিক্ত, তুমি অপরিপূর্ণ।
কেননা তুমি বাঙ্গালী নারী।
তোমার চোখের কোনে জল
তোমার অন্তরের অন্তরস্থলে দুচোখ
বন্ধ করে অনুভব করো,
শুধুই হাহাকার, শুধুই হাহাকার, হাহাকার আর হাহাকার।
তারপর ও তুমি নারী,
সইতে হবে তোমাকে সব নীরবে নিস্তব্ধে।
তবে কেন এই নারী দিবস উদযাপন?
ভেঙ্গে ফেল নারী, বুক ফুলিয়ে রুখে দাড়াঁও।
এবার সময় আসছে তোমার প্রতিবাদ করবার।
আর তুমি হবেনা কারো দাসত্বের স্বীকার।
তোমার চোখের কোনে জমবেনা জল,
থাকবেনা কোন হাহাকার
তুমি রুখে দাড়াঁও নারী
আর চুপ থেকোনা
আমরা অসহায় নই, আমরা হবোনা কারো দাসত্বের স্বীকার।
শ্লোগানে শ্লোগানে ভরিয়ে তোল নারী দিবস।
Saturday, March 8, 2008
নারী
নারীর কথা
Content of this post: Here writer, demonstrate a tale of woman Komola, who had a dream to continue study, establish her life and be an educated mother. But Komola’s dream was broken and now she is a cake seller in footpath of Dhaka city.
নারী শব্দটি শুনলেই মনে হয় এক অবলা, সহজ সরল আর কমল হৃদয়ের কোন এক রমনী। যার মাঝে রয়েছে অনেক স্বপ্ন অনেক আশা আর ভালবাসা তেমনি এক নারীর কথা শুনব।
কমলা তার নাম, বিয়ে হয়েছে অনেক ছোট বেলায়। দু-চোখ ভরা অনেক স্বপ্ন ছিল কমলার। সে তার গ্রামের সাথীদের সাথে স্কুলে যাবে, লেখাপড়া শিখবে একদিন অনেক বড় হবে। লেখাপড়া শিখে চেয়েছিল কমলা জীবনটাকে অনেক সুন্দর করে গড়তে। কিন্তু কমলার সেই স্বপ্ন শুধু স্বপ্নই রয়ে গেল বাস্তবে আর পরিণত হতে পারল না। এখানে কমলার দোষ ছিল যে সে গরীব বাবা-মার সন্তান, তার বাবা-মায়ের লেখাপড়ার খরচ যোগানোর মত কোন সামর্থ্য ছিল না। হঠাৎ করে কমলার বিয়ে হয়ে গেল। স্কুলের সব সাথীদের ছেড়ে কমলা চলে গেল স্বামীর বাড়িতে। কমলার স্বপ্নভরা সে দুটি চোখ দিয়ে এখন শুধু জল পরছে। একদিন-দুইদিন, একমাস-দুইমাস, একবছর-দুইবছর এমন করতে করতে পার হয়ে গেল ২০টি বছর। এই বিশ বছরে কমলার যে স্বপ্ন ছিল তা যদি বাস্তবায়িত হত তাহলে কমলা হয়তো এখন একজন ডাক্তার অথবা অন্য কিছু হতে পারত বা একজন শিক্ষিত মা কিন্তু এখানেই কষ্টভরা মনে বলতে হচ্ছে যে, সেই ছোট কমলা আজ একজন পিঠা বিক্রেতা শুধু তাই নয় কমলা মাও হয়েছেন কিন্তু শিক্ষিত মা নন একজন কর্মঠ দরিদ্র মা। সারাদিন রাস্তায় এককোনে বসে কমলা পিঠা বিক্রি করে। প্রতিদিন চার কেজি চাল গুড়ি করে কমলা চিতই পিঠা আর ভাপা পিঠা বানায়। কমলা পিঠা বানায় আর অপেক্ষা করে কাস্টমারের জন্য। এই পিঠা বিক্রি করে কমলা তার সংসার চালায়। চারটি মেয়ে ও দুটি ছেলে নিয়ে কমলার সংসার। স্বামী বেকার আর ছোট ছোট ছেলেমেয়ে নিয়ে কমলার হতাসার কোন শেষ নেই সারাক্ষন শুধু চিন্তা কিভাবে কমলা ঘড় ভাড়া যোগাড় করবে কিভাবে কমলা স্বামী ও সন্তানদের খাবার যোগাড় করবে। কমলার চেহারায় বয়সের ছাপ দেখা যায়, মনে হয় বৃদ্ধ হযে গেছে কিন্তু যদি কমলার ছোট বেলায় বিয়ে না হয়ে লেখাপড়া শিখত তাহলে এত তাড়াতাড়ি কমলার চোখে মুখে বৃদ্ধার ছাপ আসত না। এভাবেই কাটছে কমলার দৈনন্দিন জীবন। প্রতিদিন যখন আমি নারী জীবন থেকে ফেরার পথে কমলাকে দেখি মনে খুব কস্ট হয় এবং আমি এটাই ভাবি যে, আজ এই কমলার জীবন বৃত্তান্ত আমি তার মুখ থেকে শুনেছি বলে লিখতে পেরেছি, কমলাকে নিয়ে ভাবতে পারছি কিন্তু কমলার মত হাজার জমেলা,জরিনা,আমিনা, আলেয়া আরও হাজার নারী আজ বঞ্চিত হয়ে আছে যাদের আমি দেখিনি।
নারীরা যখন পুরুষের চেয়ে ভাল কোন কাজ করে তখন তা দেখে আমরা মুগ্ধ হই কিন্তু যখন কোন ছোট মেয়ের স্বপ্ন ভেঙ্গে যায়,যখন তার থেকে বই কেঁড়ে নিয়ে হাতে বিয়ের মেহেদী পড়ানো হয় তখন আমরা ও অবাক হই কিন্তু প্রতিবাদ করতে পারি না, কিন্তু কেন? আমরা কি পারি না আমাদের নারীদের বিপদে তাদের পাশে দাঁড়াতে স্বপ্ন পূরনে সাহায্য করতে আমরা কি এতটাই অক্ষম? কিন্তু অস্বীকার করব না এখনও সেই ভাল মানুষগুলো আছে যারা নারীকে সম্মান করে বিপদে নারীদের পাশে এসে দাঁড়ায়। বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান তৈরি করে শুধু নারীদের জন্য যেমন নারী জীবন একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষিকা এবং বিশেষ করে যিনি নারী জীবনের প্রতিষ্ঠাতা ক্যাথি ম্যাডামকে আজ নারী দিবস উপলক্ষে নারী জীবনের প্রতিটি নারীর পক্ষ থেকে বিশেষ করে আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের বাংলাদেশে এরকম সুযোগ- সুবিধা পেলে আমার মত অনেক নারীরাই প্রতিবাদী হবে জীবন সম্পর্কে জানবে। ঘরে বসে আর অন্যায়কে মেনে নিবে না। আমাদের নারীদেরও কিছু বলার আছে, জানার আছে, দেখার আছে, আমরা বলব, দেখব এবং জানব..........
উপহাস
আমি তো নজরুল নই, নই কবি রবীন্দ্র বা জীবনানন্দ
এই ভাষার কাব্য লিখে তোমাদের দেব আনন্দ
সুকান্ত হতে পারিনি বা কবি শরৎচন্দ্র
যদিও মানুষ আমি তবে অতিক্ষুদ্র।
উপন্যাসিক ফাল্গুনী নই, নই আমি বঙ্গিমচন্দ্র
শত চেষ্টায় ও করতে পারিনি জ্ঞানেন্দ্র।
সুফিয়া কামাল ও নই আমি বা পল্লিকবি জসিম
মনে আছে দৃঢ়বল, বুকে আছে সাহস মোর অসীম।
সাহিত্য সম্রাট লেখকের কাব্য পড়েছি প্রথম অধ্যায়
লিখেছেন যাহা চির অমর শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
নজরুল রচিত সঞ্চিচা রিক্তের বেদন পড়িতে করিনি ভুল
স্মরণ যদি না থাকে তাহা কে দিবে মাশুল?
বিদ্রোহী নই বা নবেল বিজয়ী লেখক রবীন্দ্রনাথ
সাধ্যমত আগ্রহ নিয়ে এগিয়েঁছি খুঁজতে তাদের পথ।
সাধনায় যখন মানুষ পৌঁছিয়েছে সেই চাঁদে
কেন আমি হতে পারব না কবি হৃদয় যে মোর কাঁদে।
এখনো হতে পারিনি কবি, বলে করিও না উপহাস
ক্ষুদ্রহতে রূপনের বৃহত্তে সাক্ষ্য যে ইতিহাস।
জোনাকির আলো যদিও জ্বলে নিভিয়ে দিওনা তারে
শষ্য কুড়াতে কুড়াতে উহা একদিন বেলে রূপ নিতে পারে
এখানে হতে পারিনি কবি বলে করিওনা অবহেলা
কবি যদি হতে পারি একদিন তবে দেখে নিও মোর খেলা।
স্যারের সই
আমাদের দেশের শিক্ষকরাই হচ্ছেন জাতি গড়ার কারিগড়। তাদেরকে আমাদের পিতা -মাতার মত সম্মান করি। কারণ পিতা-মাতার পরে তারাই আমাদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত বা উপযুক্ত শিক্ষিত হতে সাহায্য করেন। তাই পথে কোথাও কোন ভাবে আমাদের শিক্ষক বা শিক্ষিকার সাথে দেখা হলে সালাম দেই। আমি এইচ. এস.সি পাশ করে অর্নাস এ র্ভতি পরীক্ষার জন্য ভর্তির ফরম কিনেছিলাম। ফরমটি কেনার দুই দিনের মধ্যে জমা দেওয়ার শর্ত ছিল। তাই র্শত অনুযায়ী সব কিছু জোগাড় করার চিন্তায় ছিলাম। ফরম কেনার পরেরদিন কলেজে গেলাম নম্বরপত্রের ফটোকপি ও ছবি সত্যায়িত করার জন্য। কলেজ অফিসে যাওয়ার পর সেখানে দেখলাম সবাই অনেক ব্যস্ততা দেখাচ্ছে। আমার সাথে কেউ কোন কথা বলতে চাইলো না। আমি যখন অপেক্ষা করছিলাম সেই সময় আমাদের এক শিক্ষিকা রুমে আসলেন। কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন না। তবে অধ্যক্ষের দায়িত্ব এই শিক্ষার হাতের দিয়ে গিয়েছিলেন। ম্যাডামকে নম্বরপত্রের ফটোকপিগুলো দিতেই তিনি বললেন দুইঘন্টা অপেক্ষা কর আমি আসছি,সই করে দিব, নইলে স্যার করে দিবেন।
স্যার তখন কলেজে ছিলেন না। সেই স্যারের বাসা আমাদের বাসার সাথে ছিল। তাই ভাবলাম দুই ঘন্টা অপেক্ষা না করে স্যারের বাসায় যাই। তাই কলেজ থেকে স্যারের বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। চিন্তা করছিলাম যে কখনও স্যারের বাসায় যাইনি, স্যার কি মনে করবেন এই ভেবে অনেক ভয় করছিল। স্যারের রুম ছিল পাঁচ তালায়। তখন প্রায় সন্ধ্যা। একা একা পাঁচ তালাসিঁড়ি বেয়ে উঠার পর দেখলাম একটা রুমের দরজা খোলা। সেই রুমে স্যারের ছাত্ররা বসে ছিল। আমিও সেই রুমে গিয়ে বসলাম। স্যার তখন ভিতরের রুমে ছিলেন। আমি স্যারের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। তখন আমার মনে ভয় ও চিন্তা এক সাথে কাজ করছিল। তিনি অনেকক্ষণ পর ছাত্রদের পড়ানোর জন্য রুমে ডুকলেন। আমি তাকে সালাম ছিলাম। স্যারকে বললাম, এই ভর্তি ফরম জমা দেবার জন্য আপনার সই লাগবে। আমার কথা শেষ হতে না হতেই তিনি আমার উপর প্রচন্ড রেগে গেলেন। একটা সইয়ের জন্য তার মুখে যা আসল সেই ছাত্রদের সামনে সে তাই বলল। আমাকে অনেক গালাগালি করল সেই ছাত্রদের সামনে। তিনি শুধু তার কথা বলে গেলেন। আমার কথা শুনতে চাইলেন না আমি যে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একটা সইয়ের জন্য ছুটাছুটি করলাম সেই কথা শুনতে চাইলেন না। তিনি শুধু তার কথা বলে গেলেন। প্রচন্ড রকম কষ্ট নিয়ে তার বাসা আসলাম। প্রত্যেকটা সিঁড়িতে পা দিচ্ছিলাম আর আমার আমি কিছুতেই কান্না থামাতে পারছিলাম না। হ্যাঁ তিনি অবশ্যই সই করে দিয়েছিলেন।
মশা
Title of this post: Mosquito by Ruma Akter
ছোট একটি প্রাণী
নাম তার মশা।
তার জ্বালায় কোন জায়গায়
যায়না একটু বসা।
ছেলে মেয়ে মনযোগ দিয়ে পড়তে যখন বসে
মশা তখন উড়ে এসে
কাঁমড় দেয় ঠেঁসে।
দুষ্ট মশার জ্বালায় তো সুখে থাকা দায়
দুষ্ট মশা রক্ত চুষে
বেজায় সুখ পায়।
Tuesday, March 4, 2008
বাজার দর
কচুটাও ২০টাকা।
এটা শুনেই হাউমাউ
৩০টাকায় একটি লাউ।
সস্তা শুধু একটু নুন
কুড়ি টাকায় কালো বেগুন।
মজা কিছু আছে ঢের
৩৫ টাকা সিমের সেড়।
কি হল ভাই লাগছে তাক?
২০টাকায় পালং শাক।
ভানু মতির দেখছো খেল?
১০০ টাকা সয়াবিন তেল।
আর কত ভাই দেখবে খেলা?
দেড়শ টাকায় একটি চেলা।
এসব শুনে রক্ত হিম
২০টাকায় চারটি ডিম।
থাকতে ক’দিন গায়ের ছাল
৩৫টাকা সেড়ের চাল।
শুনবে কি আর বাজার দর
ছাড় এবার ঢাকার শহর।