‘নারী’ এই শব্দটি প্রাচীন কাল থেকে প্রতিটি দিন, প্রতিটি ক্ষণ নানাভাবে নির্যাতিত ও শোষিত হচ্ছে। অথচ এই নারীর কারণেই একটি সন্তান পৃথিবীর আলো দেখতে পায়, একটি সুন্দর জীবনের শুভ সুচনা হয়। অথচ নারীদের জীবন আমাদের এই সমাজে শুধুই একজন সামান্য নারী হিসাবে চিহ্নিত, যার কোন অস্তিত্ব নেই।
অনেক ক্ষেত্রে আমাদের দেশে নারী নির্যাতনের মুলহোতা থাকে আরেকজন নারী। উদাহরন স্বরুপ বলা যেতে পারে যে, একজন মেয়ের বিয়ের পর সাধারণত সর্বপ্রথম শাশুরী-ননদ বা জা যৌতুকের চাপ প্রয়োগ করে। এতে করে মেয়েটি অসহায় হয়ে পড়ে।
“সম্প্রতি দৌলতপুরে এক গৃহ বধুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। গত রোববার রাতে উপজেলার চৌহদ্দিঘাট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রোববার রাত ১২টার দিকে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে নায়েব আলী তার স্ত্রী নাজেরা খাতুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এমনকি ঘটনা ধামাচাপা দিতে লাশ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখে। এলাকাবাসী লাশ ঝুলিয়ে রাখতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। এলাকাবাসী জানায় নায়েব আলীর ৮ স্ত্রীর মধ্যে হাজেরা খাতুন চতুর্থ স্ত্রী এবং তার অধিকাংশ স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেছে। এর পর থেকে হাজেরার সাথে তার স্বামীর কলহ চলে আসছিল। এর জের ধরেই এই হত্যাকান্ডটি ঘটে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।” (মানব জমিন২৫শে নভেম্বর-০৮-মঙ্গলবার)
অতএব এ থেকে বোঝা যায় আমাদের নারীরা কত অসহায়। একজন লোক বহু বিবাহে লিপ্ত হয় আর তার বলি চরাতে হয় একজন নারীকে।
অপর দিকে গোলাপগঞ্জের কোটালি পাড়ায় একজন স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে তাকে অপহরণ করে ৭দিন ধরে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। আর ৫জন ধর্ষণকারীকে পুলিশ খুঁজছে। (মানব জমিন২৫শে নভেম্বর-০৮-মঙ্গলবার)
এগুলো থেকে আমরা বুঝতে পারি নারীরা কতখানি অনিরাপদ। তাদের প্রতিটি পদেই বিপদের সম্মুখিন হতে হয়। অপরাধীরা থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজে অবস্থিত “ন্যাশনাল ফরেনসিক ডি, এন, এ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরী” কর্তৃক নিম্ন লিখিত সেবা প্রদান করা হয়ঃ
- ধর্ষণ, হত্যা প্রভৃতি জঘন্যতম অপরাধের অপরাধী সনাক্ত করণ।
- পিতৃত্ব, মাতৃত্ব নির্ণয়।
- বিচ্ছিন্ন অথবা বিকৃত মৃতদেহ সনাক্তকরণ।
No comments:
Post a Comment