প্রথম অংশ
এক গ্রামে এক কৃষক ছিল। তার স্ত্রী ছিল এবং তাদের একটি মেয়ে ছিল। কিন্তু তাদের খুব অভাব ছিল। কৃষকের দুই বিঘা জমি ছিল। সেই জমি চাষ করত এবং যা ফসল আসত তাই দিয়ে কোন রকম তাদের চলত। ঐ গ্রামে রাজা ছিল। তার একটি রাজকুমার পুত্র ছিল। সে একদিন বনে শিকার করতে যায় পথে হঠাৎ সাপে কাঁটে। এরপর রাজা গ্রামের সকলের কাছে রাজ কুমারের জীবন বাঁচাতে আবেদন করে কিন্তু গ্রামের কেউ এলো না। রাজা গ্রামের সকলের কাছে বলে, যে যা চাইবে তাই পাবে তার বদলে রাজ কুমারের জীবন ফিরে পেতে চায়। হঠাৎ কৃষকের মেয়েটি বলে আমি রাজি। মেয়েটি রাজ কুমারকে সুস্থ করে তুলে। মেয়েটিকে রাজা জিজ্ঞাসা করে কি চাও, মেয়েটি কোন উত্তর দিল না। রাজা কৃষকের কথা ভেবে, কৃষকে ৬ বিঘা জমি দিয়ে দিল। কৃষক তার মেয়েটিকে নিয়ে বাড়ি চলে যায়। কৃষক সব জমি চাষ করে অনেক ফসল পেয়ে বাজারে বিক্রি করে অনেক মূল্য পায়। তাই দিয়ে নতুন ঘর তুলে। তার মেয়েটিকে বিয়ে দিয়ে দেয়। এরপর কৃষকরা সুখে শান্তিতে বসবাস করতে লাগলো। তাদের জীবনে আর আভাব রইল না.......
দ্বিতীয় অংশ
এক শহরে একটি পরিবার ছিল। বাবা, মা ও একটি মেয়ে ছিল। ছুটিতে তারা সবাই বর্ষাকালে বেড়াতে যায় সুন্দরবন এবং ঘুরে ফিরে দেখে সুন্দরবন। হঠাৎ আকাশে মেঘ ডাকে সকলে ভয় পায়, তাড়াতাড়ি করে লঞ্চে উঠে চলে যায়। বাবা, মা ভুলে মেয়েকে রেখে যায়। মেয়েটি সারাদিন নদীর ধারে বসে থাকে। মেঘ ডাকে তাতে মেয়েটি ভয় পায়। এবং বৃষ্টিতে ভিজে মেয়েটি আসুস্থ হয়ে পড়ে। এমন সময় একটা লোক এসে মেয়েটিকে দেখে, তার বাড়িতে নিয়ে যায়। ডাক্তার দেখিয়ে সে মেয়েটি কে সুস্থ করে তুলে কিন্তু মেয়েটি তার বাড়ি ঠিকানা বলতে পারে না। সেই থেকে মেয়েটি সেখানে থোকে যায়..........
No comments:
Post a Comment