Saturday, August 25, 2007

একটি বর্ষনমুখর সন্ধ্যা

Title of this post: A rainy evening by Sumaya Marzana.
Content of this post: Author described her feelings in her writings. Author like drop of rain and rainy evening but she dislike when it makes hazard for human.

নীল আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে গেছে। সকাল থেকে শুরু করে সারাদিন অবিশ্রান্ত বৃষ্টি। বিকালের এক ঝলক রোদের পরে আবার জমাট বাধঁতে শুরু করছে মেঘ। মেঘের গুরু গর্জনে ও আকাশের বিদ্যুৎ চমকানির মধ্য দিয়ে লজ্জায় লাল হচ্ছে অস্তায়মান সূর্যটা, বর্ষণমুখর মুহুর্ত এ এক দুর্লভ রূপ। আমি অনেক বর্ষণমুখর দিন দেখেছি কিন্তু আজকের মত এত দূর্লভ এত প্রাণবন্ত মুহুর্ত আমার জীবনে আগে কখনো আসেনি। এ দুর্লভ মুহুর্তে আমিই যেন একক অধিপতি। প্রকৃতির এই বিষন্নতাই হয়তো আমার ভাবনাগুলোকে এলোমেলো করে দিল। অন্ধকার নেমে আসছে। বৃষ্টির প্রতিটা ফোটার শুদ্ধতা ভোগের লোভ সামলানো গেল না। বসে পড়লাম জানালার পাশে। অন্ধকারের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই যেন বেড়ে চলছে বৃষ্টি। ভাষাহীন অন্ধকারে বৃষ্টিপাতের অবিরাম শব্দ যেন হঠাৎ নির্ঝরের স্বপ্ন ভঙ্গের পর অবিরাম নূপূরের ছন্দ তুলে বয়ে চলা। জানালার পাশে বসে বৃষ্টি পতনের এ ধ্বনি কার না হৃদয়ে সংগীতের সুর মুর্চ্ছনা জাগায়,কার না হৃদয়ে কাব্যের অনুভূতি দোলা দেয়। বিশ্ব কবির কবিতায় এ মুহুর্তটির অনুভবে, আমার হৃদয়ে বেজে উঠলো-

"এমন দিনে তারে বলা যায়
এমন ঘনঘোর বরিষায়
...........................
সে কথা শুনিবে না কেহ আর
নিভৃত নির্জন চারিধারে।
দুজনে মুখোমুখি গভীর দুখে দুখি,
আকাশে জল ঝরে অর্নিবার
জগতে কেহ যেন নাহি আর।"

বিষন্ন প্রকৃতির বুকে এ রকম কাব্য সংগীতের সুরলহরী আমাকে রোমান্টিক করে দেয়। কাকে কী বলা যায় তা কবিগুরু জানান নি; কিন্তু এমন উদাস করা মুহুর্তোই যেন আমাকে সব জানিয়ে দিল। এ যেন এক অদ্ভুদ অনুভুতি। এই রকম এক সুন্দর মুহুর্তে নিজেকে নিয়ে ভাবতে ভীষন ভাল লাগে। আর আমি এখন তাই করছি। হঠাৎ করে আমার ফোনটি বেজে উঠল। দেখলাম আমার এক প্রতিবেশী ফোন করেছে। সে আমাকে তার করুন কন্ঠে বললো- এই দীর্ঘ বৃষ্টির ফলে তার বাসার সামনে পানি জমে যায় এবং তার বাবা অফিস থেকে ফেরার পথে হোঁচট খেয়ে পড়ে গিয়ে আহত হয়।

এই কথা শোনার পর আমার সব ভাল লাগাটুকু নিমিষেই শেষ হয়ে গেল জল ধারা প্রবাহের মতো। এই বৃষ্টি যেন মানুষের মনকে যেভাবে আবেগ প্রবন করে তোলে ঠিক তেমনি যেন পরিণত করতে পারে বেদনা বিদুরে। কিন্তু আমি তা চাই না যা মানুষের ক্ষতি করে। ভাল লাগার প্রতিটি মুহুর্তই যেন কোন না কোন কারনে শেষ হয়ে যায় হারিয়ে যায়। আমি ঠিক আমার জীবনে ঐ ক্ষণিক সময়ের ভাল লাগাটুকু হারিয়ে ফেলেছি যা কিছুক্ষনের জন্য আমাকে আনন্দ দিয়েছিল। আমি এই দিনটির কথা আমার হৃদয়ের ক্যানভাসে লিখে রেখেছি।

Tuesday, August 21, 2007

নারীর অধিকার

Title of this post: women rights written by Afroza Akter kazol
Contents of this post: In this poem writer expressed her thoughts on women rights and dignity.

আমরা নারী আমরাও পারি

করতে সবকিছু

নারীরা আর থাকবে না বসে

অসহায় ও নীপিরণের বেসে।

নারী কেন থাকবে শিক্ষা বঞ্চিত

নারী পুরুষের জন্য শিক্ষা অন্তরহীত

নারীরা সমাজের অর্ধ অঙ্গ

ওরা না থাকলে সমাজ পঙ্গু

নারীর জাগরনে জাগতে হবে

নিজেদের স্বাধীন ভাবতে হবে

ওরা চায়না আর অবহেলা

চায় শুধু একটু মর্যাদা

পুরুষ ও নারী উভয় মানুষ

বুঝেনা কেন সমাজের পুরুষ

আজকের এ সমাজ সংসারে

দাসী হয়ে আছে কেন নারীরা

নারীরাও পারে ধরতে হাল

পুরুষের সমপায়

নারীর যদি থাকে বসে ঘরে

চলবে না এ সমাজ

তাই নারীদের কেও দিতে হবে

পুরুষের মত সম অধিকার

নারীরা পারে গড়তে

বিশ্ব জয় করতে

নারীদের এই মত

নারীরাই হল সব।