লিখেছেন: লাইলি জাহান মেঘলা
কেহ আমায় দেখিতে পারিত নহে
আমি যখন বড় হয়েছিলাম ভবে
কেহ আমায় দেখিতে পারিত নহে।
এতো কষ্ট করিয়া আমি বেঁচে আছি
বুকে শক্ত পাথরে মতো, অনেক কষ্ট
এত কষ্ট জীবনে?
অপেক্ষায় রয়েছি আমি
আসবে কবে সে দিন ।
লিখেছেন: লাইলি জাহান মেঘলা
এতো কষ্ট করিয়া আমি বেঁচে আছি
বুকে শক্ত পাথরে মতো, অনেক কষ্ট
এত কষ্ট জীবনে?
অপেক্ষায় রয়েছি আমি
আসবে কবে সে দিন ।
লিখেছেন: লাইলি জাহান মেঘলা
তখন তোমরা আমার কথা
স্বরণ করিও
তোমাদের মাঝে হয়তোবা
আর কখনো দেখা হবে না
আমি যখন হারিয়ে যাব
তখন তোমরা আকাশের
যে কোন তারার একটি তারা
আমাকে মনে করে,
স্বরণ করি ও ।
তোমাদের মাঝে
হয়তো বা এই জগতে নয়
তোমাদের মাঝে পরজগতে
দেখা হবে ।
লিখেছেন: লাইলি জাহান মেঘলা
কবিতা যখন পড়ি আমি, তখন মনে হয় কল্পনা
তখন আবেগ চারদিকে, ছড়িয়ে পড়ে কল্পনায়
কবিতা যখন পড়ি আমি
তুমি করো উপহাস
গান গায় বলে, অবহেলা করো তুমি
যেন হয়ে যাবে রুনা লায়লা
অভিনয় করতে গেলে, মুখ বাঁকা করে বলো
যেন হয়ে যাবে শাবনুর
যাই হতে চায় আমি, দাও কেন বাঁধা
উপহাস করো না তুমি,আর্শীবাদ দাও তুমি
আমার একটা মিনতি
আমার একটা অনুরোধ
আমার বিজয়ের দিনে
দেবে তুমি হাত তালি।
লিখেছেন: জয়নাব খানম
বৃষ্টি যখন টিনের চালায়
ঝুপঝুপিয়ে পড়ে,
ছোট-খাট উঠাণ খানা
পানিতে যায় ভরে।
বাচ্চা গুলো খাটের উপর
সারাটি দিন লাফায়
বৃষ্টি তখন তাল মিলায়,
করুণ সুরের মূর্ছণায়
অবিরাম ঝরে ধূলির ধরায়।
বর্ষা এলে ফর্সা হয়
গাছের পাতারা,
কষ্ট আশ্রয়হীন
-ফুটপাতিয়ারা।
কাজ পায়না সারাটি দিন
মেহনতি মানুষ,
অলস হয়ে ঘরে বসে
কাটে তাদের উপোস।
লিখেছেন: জয়নাব খানম
মশা সব করে রব
সারা রাত ধরে,
মশারি ছাড়া হয়না শোয়া
দিন-দুপুরে।
ড্রেনের পাশে যাদের বাস
তাদেরই হয় সর্বনাশ।
ঘরে ঢুকলে মনে হয়
এতো আমার ঘর নয়,
মশা করছে রাজত্ব
মশারই ঘর বোধহয়।
পড়ার টেবিল,খাট, সোফা,
বাথরুম কি পাকের ঘর
ভুলেনাতো প্রতিদিন সে
নিতে সবার খোঁজ-খবর।
ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড
দেয় সে উপহার
কয়েল-স্প্রে-সিটি মেয়র,
মশা নিধনে সবাই
মেনে নিল হার।
তাই মোরাও মেনে নিলাম
মশাদের সব উৎপাত,
সন্ধি হল মশার সাথে
মোরা বাস করব
আজীবন একসাথ।