Title of this post: They are male not human being by Jainub Khanam
আমি পুরুষকে শ্রদ্ধা করি। আবার ঘৃনাও করি। কারণ, সমাজে যেমন আছে ভাল পুরুষ, তেমনি আছে নোংরা, বিকৃত মস্তিস্কের পুরুষ। পথে ঘাটে, যেখানে সেখানে নারীরা লাঞ্চিত হচ্ছে এই পুরুষদের হাতে। কয়েকদিন আগে আসছিলাম আমাদের কলোনির রাস্তা ধরে। সাথে ছিল আমার ১৩ বছর বয়সের ভাগ্নী। সময়টা ছিল শুক্রবার জুমার নামাজের সময়, বাইরে কোন লোকজনের চলাচল ছিল না। আমাদের সামনে একটি ছেলে জিন্স প্যান্ট শার্ট পড়া ভদ্র বেশী। কিন্তু মুহুর্তের মধ্যে তার রূপ পরিবর্তন হয়ে গেল। সে খারাপ দৃষ্টি ভঙ্গি নিয়ে আমার ভাগ্নির দিকে তাকিয়ে ছিল আর সামনে এগিয়ে আসছিল। আমার শরীর কেপেঁ উঠল। আমি আমাকে নিয়ে ভাবিনি, ভেবেছি ভাগ্নিকে নিয়ে। ছেলেটির যে উন্মাদ, নোংরা ইমোশন কাজ করছিল তা দেখে আমার মনে হচ্ছিল, সে যে কাউকে ধরে বসে পারত। দ্রুত পায়ে বাসায় চলে এলাম এবং পরদিন থেকে কম বয়সী মেয়েটিকে বোরখা পড়তে বাধ্য করলাম। কারণ এই বোরখা তাকে অনেক খারাপ কিছু থেকে নিরাপত্তা দেবে এবং তাকে রক্ষা করবে খারাপ পুরুষদের লোলুপ দৃষ্টি থেকে।
এত নোংরা আচরন খোলা রাস্তায় শুধুমাত্র পুরুষকেই মানায়। এই বিশ্রি ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আমি “ওরা মানুষ নয়- পুরুষ” কবিতাটি লিখার প্রয়াস পেলাম...
পথে ঘাটে হরহামেশা
নারীদের হয়রানি করছে যারা
তারা কি মানুষ?
না, না ওরা পুরুষ।
রাস্তা দিয়ে চলার পথে
ভিড়ের মাঝে হাত চালায়
নারীদের হেতায় সেথায়
তারা কি মানুষ?
কভুও না ওরা পুরুষ।
চলার পথে পাশ দিয়ে যাক
পাগলা কুকুর তবুও না যাক
একটি পুরুষ।
কুকুর তো শুধু কামড়ে দেবে
চিকিৎসাতেই সুস্থ হব।
কিন্তু হলে পুরুষের লালসার স্বীকার
উপায় যে থাকবে না বেচেঁ থাকার।
একটি নারী যখন হয় ঘরের বাহির
মায়ের মন তখন হয়ে যায় অস্থির।
প্রার্থনা করে খোদার কাছে
বাইরে যেন মেয়ের সম্ভ্রব বাচেঁ।
মা তত ভয় পায়না
ঘাতক ট্রাকের আঘাতকে
যতখানি ভয়পায়
পুরুষের লোভের চাহিদাকে।
আমি জানি না ওরা কি ভাবে
লাঞ্চিত নারীগুলো ওদেরই তো
মা বোন ভাগ্নি কিংবা মেয়ে।
বাংলার অলিতে গলিতে
এ কোন হায়েনার দল
মেতে উঠেছে এ কেমন পাপের নেশায়
তিন বছরের মেয়ে শিশু
যুবতী কিংবা গৃহ বধূ
পবিত্র সম্মান হারাচ্ছে সবাই।
যতক্ষন ঘরে থাকি ভাবি নিরাপদ
বাইরে গেলেই বিকৃত মনের পুরুষ
যেখানে সেখানে ঘটায় বিপদ।
প্রতিদিন প্রতিনিয়ত করে উৎপাত
হে খোদা! তুমি এদের কর নিপাত।
কি ভাবে নারী রাস্তায় যাবে?
কিভাবে নারী শিক্ষিত হবে?
নির্যাতিত নারী দেহের রক্তাক্ত লাশ
নয় টুকরো হয়ে পড়ে থাকে রাস্তার পাশ।
যারা নারীকে ভোগের পন্য ভাবে
এইতো মোদের বাংলার রূপ
করব কি আর পেশ
এই আমাদের হরেক রকম
আইনে ঘেরা সোনার বাংলাদেশ।