Friday, October 12, 2007

ঈদ মোবারক


ঈদ আরবী শব্দ। এর অর্থ খুশি, আনন্দ-উৎসব। রমজান মাসে একমাস রোজা রাখার পর শাওয়াল মাসের প্রথম দিনই হচ্ছে মুসলমানদের এই খুশীর দিন যা সারা মুসলিম উম্মাহ্‌দের কাছে ঈদ-উল-ফিত্‌র নামে পরিচিত রমজান মাসে দীর্ঘ এক মাস রোজা রাখার পর সকল মুসলিমদের মাঝে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সরূপ সকলের মাঝে আনন্দ বিলিয়ে দিতে আসে ঈদরোজা আরম্ভ হয় সুবহে সাদিক থেকে এবং শেষ হয় সূর্যাস্তের সময়েরমজান আরবী বৎসরের অষ্টম মাসরোজা রাখার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে হীন, দরিদ্রের কষ্ট উপলদ্ধি করা এবং একটি গুরত্বপূর্ণ জীবন গঠনের প্রতিজ্ঞা করা

ঈদুল ফিতর মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনা শেষে আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে প্রতিবছর ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। অনন্য এক ভাবধারা ও পৃথক জৌলুস নিয়ে আসে মুসলমানদের এক আনন্দময় দিবস। পরিপূর্ণ ধর্মীয় মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যে অনুষ্ঠিত হয় মুসলিম উম্মাহর ঈদ। তাই অপরিসীম খুশির মাহাত্ম্য রয়েছে এই ঈদুল ফিতরে। ঈদ মহাখুশি ও চরম আনন্দের একটি মহিমান্বিত দিন। নিঃসন্দেহে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আনন্দ-উৎসব বিশ্বের মুসলমানদের জন্য আল্লহ রাব্বুল আলামিনের এটি শ্রেষ্ঠ অবদান। ঈদুল ফিতর মুসলমানদের জাতীয় উৎসব। এই মর্মে রাসুলুল্লা (সা.) ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয়ই প্রত্যেক জাতির জন্য উৎসব দিবস রয়েছে, আর এটি হল আমাদের উৎসব।

মূলত, ঈদ মানুষের জীবনে নিয়ে আসে পরম আনন্দ আর পেছনে থাকে এর অন্তর্নিহিত তাৎপর্য। ঈদের সীমাহীন আনন্দ উপভোগের সঙ্গে সঙ্গে পরম করুনাময়ের উদ্দেশে নিজেকে নিবেদিত করতে হবে আর মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ত্যাগের, ভ্রাতৃত্বের, ঐক্যের, সম্প্রীতির এবং সৌহার্দ্য-সহমর্মিতার মহান আদর্শ অনুধাবন করতে হবে।

ঈদুল ফিতর উদযাপন করবে নারী জীবনের ষ্টাফ এবং শিক্ষার্থীরা । নারী জীবন অফিস এবং ব্লগ পোস্টিং ঈদুল ফিতর উদযাপন উপলক্ষে ১২ অক্টোবর,২০০৭ থেকে ১৬ অক্টোবর,২০০৭ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। ঈদ ছুটির পর ১৭ অক্টোবর,২০০৭ থেকে পুনরায় আমাদের কার্যক্রম শুরু হবে।

নারী জীবন স্টাফ, শিক্ষার্থী, ব্লগ পাঠক এবং সকলকে ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদের বিশেষ শুভেচ্ছা জানাচ্ছি ড. ক্যাথরিন বি. ওয়ার্ড, ক্যাটি জামান, প্যাট এবং বিল ওয়ার্ড (এই মাসে তাদের পূর্ন হতে যাচ্ছে ৫৫ তম বিবাহ বার্ষিকী), ডেবিড সাসাকী, মাসুদ জামান, জিনাত চৌধুরী, লিন্ডসে গ্রির, স্যান্ডি রোজেনক্রেনস, রিজওয়ান এবং রাইজিং ভয়েসের সকল গ্রাহকদের।

Thursday, October 11, 2007

সেই মেয়ে

Title of this post: That Girl (A short story) written by Zannat Ara Amzad (English & computer student)
Content of this post: In this short story, author has written a story about a family from her imagination.


আজ তিথিদের বাড়ির পরিস্থিতি অত্যন্ত শোচনীকারণ আজ শুক্রবারশুক্রবার ছুটির দিনতিথির বাবা আজ বাড়িতেআর ছুটির দিন বলেই তিথিদের বাড়ির পরিস্থিতি খুব একটা ভাল নাতিথির বাবা সরকারি চাকরিজীবিতিনি ভিন মেজাজি লোকআর তিনি যতক্ষন বাড়িতে থাকেন ততক্ষন বাসার সবাই খুব ভয়ে ভয়ে থাকেনকখন যেন চিৎকার চেচাঁমেচি শুরু হয়ে যায়দুই বোন ও এক ভাই নিয়ে তিথিদের সংসারতার মধ্যে তিথি মেঝো আর তার বড় বোন বিথিএবার অনার্স সেকেন্ড-ইয়ারে পরছে এবং ছোট ভাই অভি ক্লাস থ্রিতেতিথির বাবা যেমন ভিষন মেজাজি, ঠিক তেমনি তিথির মা, যেমনি রাগি তেমনি ভালএকদিন বিথি আপা তার এক বান্ধবির বাড়িতে গেল আপা বাসা থেকে বের হয়েছে সকাল নয়টার দিকেআর বাসায় ফিরেছে সন্ধ্যা সাতটায় আর আপার ভাগ্য ভাল যে সেদিন তখনও বাবা অফিস থেকে বাড়ি ফিরেনি নইলে সেদিন আপার খবর ছিলযখন আস্তে আস্তে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এল তখন থেকেই আমি আর অভি ভিষন চিন্তা করছিলাম আজ কি যেন কি ঘটে যায়এর আগে এমন কখন ঘটেনিহঠাৎ বেল বেজে উঠলএই বুঝি বাবা এল! কিন্তু না, গেট খুলতেই সুর সুর করে ঘরে ঢুকে পরল আপা তার আচরন স্বাভাবিকযেন কিছুই হয়নি,

মা রান্না ঘথেকে জিজ্ঞেস করল, তিথি কে এল?
আমি ভয়ে বললাম, আপা এসেছে
মা এসে বলল , বিথি দুপুরে খেয়েছিস?
আপা বলল, হ্যাঁ মা, খেয়েছিমা- আমি ভিষন ক্লান্তআমি হাত-মুখ ধুয়ে ঘুমোবো,আমাকে কেউ ডাকবে না
মা বলল , সে কি রাতে খাবিনা!
আমি আর অভি মা-র ব্যাবহার দেখে অবাক হয়ে গেলামঅথচ এর আগেও আপা একবার কলেজ থেকে ফিরতে দেরি করেছে বলে মা আপাকে খুব বকাঝকা করেছিলতখন আপা ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পড়তআমি মার কাছে গেলাম বললাম , মা তুমি আপাকে কিছু বললেনা যে
মা বলল, কি বলব?
আমি বললাম, ওইযে আপা রাত করে বাড়ি ফিরেছে
মা বলল, এতে বলার কি আছে!
আমাদের বাড়ির সবাই শুক্রবার দিনটাকে ভয় করেবাবা সেদিন বাসায় থাকে বলেএতক্ষন আমরা ভিষন ভয়ে ছিলামকিন্তু হঠাৎ বাবা সবার সাথে স্বাভাবিক ভাবে কথা বলছে
বাবা আপার ঘরে গিয়ে আপার মাথায় হাত বুলিয়ে বলেছে, কি করছিস?
আপা উত্তর দিল, জি বাবা উপন্যাস পছিলাম
বাবা বলল, ভালো উপন্যাস পড়া ভালো এতে করে অনেক কিছু শেখার আছেতা কি উপন্যাস পছিস ?
আপা বলল, উপন্যাসটির নাম- আজ চিত্রার বিয়ে
বাবা বলল, যাই হোক যা বলছিলাম বুঝলি তোদের মত এই বয়সে আমরাও উপন্যাস পতামকত উপন্যাস পড়েছিহাঃ হাঃ হাঃ
আমি বাবাকে কখন এমন প্রাণ খুলে হাসতে দেখিনিবাবা আপার ঘ থেকে হাসতে হাসতে বের হলএই যা এখন বাবা আমাকেউ ডাকছে
বাবা বলল, তিথি আমি বেলকুনিতে গিয়ে বসছিতুই আমার জন্য এক কাপ চা বানিয়ে নিয়ে আয়ত মা
আমি বলল, জি বাবা আসছি
মা বিরক্ত কন্ঠে বাবাকে বললেন, আজ সকাল থেকে কি হয়েছে! বলি আজ এত ঘন ঘন চা খাওয়া হচ্ছে কেন ?
বাবা মাকে বললেন, রেহানা, তুমিও এসো তোমার সঙ্গে আমার কথা আছে
মা বললেন, কি কথা তাড়াতাড়ি বলুন! চুলোয় রান্না চড়িয়েছি
বাবা বললেন, আজ সন্ধ্যায় কিছু মেহমান আসবেবিথির জন্য একটা প্রস্তাব এসেছে
মা বললেন, প্রস্তাব! তা ছেলে কি করে, কোথায় থাকে, ছেলে দেখতে কেমন?
বাবা বললেন, আহা রেহানা তুমি এতগুলো প্রশ্ন একসাথে করলে আমি উত্তর দিব কেমন করেছেলে মেরিকা থাকে ওখানে ওদের বাড়ি আছেবিজনেস আছে, এছাড়াও এদেশেও ওদের তিনটা বাড়ি আছেছেলের বাবা বে বড়লোক ওদের এদেশের একটা বাড়ি ঢাকার গুলশানে আর দুটো বাড়ি উত্তরায় আর এমনিতে ছেলের গ্রামের বাড়ি ........... কোথায় যেন ঠিক মনে করতে পারছিনা
মা বললেন,
দেখো বিথির বাবা ছেলের গ্রাম যেখানেই হোক, ছেলের সম্পর্কে যা যা শুনলাম এতে করে ছেলে আমার পছন্দ হয়েছে

চলবে ................