Saturday, March 8, 2008

স্যারের সই

Title of this post: Signature of my teacher by Poli Akter

আমাদের দেশের শিক্ষকরাই হচ্ছেন জাতি গড়ার কারিগড়তাদেরকে আমাদের পিতা -মাতার মত সম্মান করিকারণ পিতা-মাতার পরে তারাই আমাদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত বা উপযুক্ত শিক্ষিত হতে সাহায্য করেনতাই পথে কোথাও কোন ভাবে আমাদের শিক্ষক বা শিক্ষিকার সাথে দেখা হলে সালাম দেইআমি এইচ. এস.সি পাশ করে অর্নাস এ র্ভতি পরীক্ষার জন্য ভর্তির ফরম কিনেছিলামফরমটি কেনার দুই দিনের মধ্যে জমা দেওয়ার শর্ত ছিলতাই র্শত অনুযায়ী সব কিছু জোগা করার চিন্তায় ছিলামফরম কেনার পরেরদিন কলেজে গেলাম নম্বরপত্রের ফটোকপি ও ছবি সত্যায়িত করার জন্যকলেজ অফিসে যাওয়ার পর সেখানে দেখলাম সবাই অনেক ব্যস্ততা দেখাচ্ছেআমার সাথে কেউ কোন কথা বলতে চাইলো নাআমি যখন অপেক্ষা করছিলাম সেই সময় আমাদের এক শিক্ষিকা রুমে আসলেনকলেজের ধ্যক্ষ ছিলেন নাতবে অধ্যক্ষের দায়িত্ব এই শিক্ষার হাতের দিয়ে গিয়েছিলেনম্যাডামকে নম্বরপত্রের ফটোকপিগুলো দিতেই তিনি বললেন দুইঘন্টা অপেক্ষা কর আমি আসছি,সই করে দিব, নইলে স্যার করে দিবেন

স্যার তখন কলেজে ছিলেন নাসেই স্যারের বাসা আমাদের বাসার সাথে ছিলতাই ভাবলাম দুই ঘন্টা অপেক্ষা না করে স্যারের বাসায় যাইতাই কলেজ থেকে স্যারের বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলামচিন্তা করছিলাম যে কখনও স্যারের বাসায় যাইনি, স্যার কি মনে করবেন এই ভেবে অনেক ভয় করছিলস্যারের রুম ছিল পাঁচ তালায়তখন প্রায় সন্ধ্যাএকা একা পাঁচ তালাসিঁড়ি বেয়ে উঠার পর দেখলাম একটা রুমের দরজা খোলাসেই রুমে স্যারের ছাত্ররা বসে ছিলআমিও সেই রুমে গিয়ে বসলামস্যার তখন ভিতরের রুমে ছিলেনআমি স্যারের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলামতখন আমার মনে ভয় ও চিন্তা এক সাথে কাজ করছিলতিনি অনেকক্ষণ পর ছাত্রদের পড়ানোর জন্য রুমে ডুকলেনআমি তাকে সালাম ছিলামস্যারকে বললাম, এই ভর্তি ফরম জমা দেবার জন্য আপনার সই লাগবেআমার কথা শেষ হতে না হতেই তিনি আমার উপর প্রচন্ড রেগে গেলেনএকটা সইয়ের জন্য তার মুখে যা আসল সেই ছাত্রদের সামনে সে তাই বললআমাকে অনেক গালাগালি করল সেই ছাত্রদের সামনেতিনি শুধু তার কথা বলে গেলেনআমার কথা শুনতে চাইলেন না আমি যে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একটা সইয়ের জন্য ছুটাছুটি করলাম সেই কথা শুনতে চাইলেন নাতিনি শুধু তার কথা বলে গেলেনপ্রচন্ড রকম কষ্ট নিয়ে তার বাসা আসলামপ্রত্যেকটা সিঁড়িতে পা দিচ্ছিলাম আর আমার আমি কিছুতেই কান্না থামাতে পারছিলাম নাহ্যাঁ তিনি অবশ্যই সই করে দিয়েছিলেন

No comments: