Title of this post: Dowry tradition by Asia Afrin Anni
বাংলাদেশের মত জনবহুল দেশে বিভিন্ন রীতিনীতি ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে অস্তিত্ব বজায় রেখেছে। এর মধ্যে যৌতুক প্রথা অন্যতম এবং এটি বহুকাল ধরে গ্রামীন সমাজে বিস্তার লাভ করছে। যৌতুক বলতে গ্রামীন সমাজে কন্যার বিয়ের সময় তার অসহায় পিতামাতা দ্বারা উপঢৌকন হিসেবে বরকে দেয়া প্রদত্ত সম্পদকে বোঝায়। যৌতুকের আবির্ভাব হয়েছে পুরুষ শাসিত সমাজ থেকে। বরপক্ষ যৌতুককে তাদের পাওনা এবং কন্যাকে ক্রয়-বিক্রয়ের বস্তু মনে করে। বাংলাদেশে যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি হয়ে দাঁড়িয়েছে। গ্রামে মেয়েদের বিয়ের জন্য তাদের দুঃখিনী মাতা-পিতাদের অর্থের বিনিময়ে সুখ কিনে নিতে হয় বরপক্ষের কাছ থেকে। বরপক্ষকে যৌতুক দিতে পারলে মেয়েদের বিয়ে হয় নয়ত তাদের কুমারী হয়েই জীবন কাটাতে হয় ঘরের এক কোনে। আর যদি যৌতুক ছাড়া কোন মেয়ের বিয়ে হয়, তাহলে বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ীতে সেই মেয়েকে নীরবে সীমাহীন অত্যাচার সহ্য করতে হয়। শ্বশুর সম্পদশালী হলে বরের যৌতুকের পরিমান বাড়তেই থাকে।
এই প্রথাটি এখনও চালু আছে কারণ বাংলাদেশের মানুষ সচেতন নয়। একমাত্র সচেতনতার অভাবে যৌতুকের মত একটি প্রকট সমস্যা বাংলাদেশে বিরাজ করছে। এছাড়া এই সমস্যা উৎখাতের জন্য বিভিন্ন কঠোর আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এই আইনগুলোকে আমরা যদি সঠিক ভাবে কাযর্কর করি এবং নিজেরা সচেতন হই তাহলে আমরা যৌতুক প্রথা প্রতিরোধ করতে পারব, পারব বাংলাদেশকে যৌতুক প্রথাবিহীন দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে।
No comments:
Post a Comment